‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:৩০
ঢাকা: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এরকম তাপমাত্রায় এই ভাইরাস নতুন করে বিস্তৃত হতে পারবে না। তাছাড়া সরকার এই ভাইরাস রোধে সব ধরনের ব্যবস্থাও নিয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পর্যটনের প্রসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও পর্যটনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আছে, সেটিও গুয়াংজুতে। সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই। তারপরও প্রতিনিয়ত মানুষ আসা-যাওয়া করছে, কিছুই থেমে নেই।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেসব নাগরিক চীনে আতঙ্কিত ছিল, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। তারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নেই। তাদের আনার জন্য যে বিমানটি পাঠানো হয়েছিল, সেটি জীবাণুমুক্তও করা হয়েছে। সেই বিমানের ক্রুরা ১৪ দিন পর্যন্ত বিশ্বের অন্য কোন দেশে যাচ্ছে না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এরপরও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানের যাত্রীরা থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করছেন। আনা হয়েছে বিশেষ ডিটেকটিভ মেশিনও, যা যাত্রীর কপালে ধরলেই তার শরীরের তাপমাত্রা জানা যাচ্ছে। তাই চিন্তার কিছু নেই।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে কি না— বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক বলেন, সত্যিকার অর্থে আসার যাত্রী ওইভাবে না কমলেও যাওয়ার যাত্রী কমে গেছে। আমরা মনে করি, সারাবিশ্বের সবাই জানেন কোথায় করোনা আছে। ফলে বিদেশি পর্যকটরা এখনো বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে ভাবছে। সাময়িক যে প্রভাব পড়েছে, সেটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই।