কোম্পানি (সংশোধন) বিল উত্থাপন ও বাতিঘর বিল পাস
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:১৮
সংসদ ভবন থেকে: ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর তা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের জলসীমায় চলাচলের সময় জাহাজের মালিক, এজেন্ট বা মাস্টারদের বাতিঘর মাশুল পরিশোধ ও এ সংক্রান্ত আইন অমান্যে জরিমানা ও সাজার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ পাস হয়েছে সংসদ অধিবেশনে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০ সংসদে উত্থাপনের সময় এর বিরোধিতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। কিন্তু তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
পরে বিলটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি পরীক্ষা শেষে কমিটিকে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংশোধিত এই বিলে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় লোগো রেজিস্ট্রেশনের বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন শুধু কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। বিলটি পাস হলে কোম্পানির কমন সিল, সাধারণ সিল ও অফিসিয়াল সিল নিবন্ধনের বিধান বিলোপ হবে।
বাতিঘর বিল
এদিকে জাতীয় সংসদে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জলসীমায় চলাচলের সময় জাহাজের মালিক, এজেন্ট বা মাস্টারকে বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে। মাশুল আদায় করবেন সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশন। বাতিঘর মাশুল পরিশোধ না করে কোনো জাহাজ নৌপথে চলাচল করলে তা আটকে রাখা হবে। আটক জাহাজ অতিরিক্ত মাশুল দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে আবেদন করলে তা ফেরত দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি সংসেদ বিলটি উত্থাপন করা হয়। ১৯২৭ সালের ‘দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট’ বাতিল করে নতুন আইন করতে এই বিল আনা হয়।
কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০ বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০ বিল উত্থাপন বিল পাস সংসদ অধিবেশন