Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৌদি আরব থেকে ফিরলেন‌ ১৮৩ বাংলাদেশি


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:১২

ঢাকা: সৌদি আরব থেকে ২০ নারীসহ আরও ১৮৩ বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরেছেন‌। বুধবার রাতে দুটি ফ্লাইটে তারা ঢাকা পৌঁছান। এ নিয়ে এ বছর ১৭৫ নারীসহ ৩ হাজার ৬৩৫ জন ফিরলেন। অন্যদিকে ওই রাতেই বিভিন্ন কারণে সৌদি আরবে নিহত আট প্রবাসী কর্মীর মরদেহ ও ঢাকায় পৌঁছায়। এ নিয়ে গত এক বছরে ৪০৯ কর্মীর মরদেহ দেশে ফিরেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। বরাবরের মতো প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় সংস্থাটি ফিরে আসাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছে। সংস্থা সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৪) বিমানে ৮৯ জন আর রাত ১টা ১০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৮) বিমানে ফেরেন ৯৪ জন ফিরেছেন।

বিজ্ঞাপন

ফেরত আসাদের কেউ কেউ অসুস্থ ছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছাতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্র্যাক সূত্রে জানা গেছে, ফিরে আসা সাথী বেগম (৩০) অসুস্থ হয়ে পড়লে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সাথী জানান, নিয়োগকর্তা বছরখনেক আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে নিযোগকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হন তিনি।

একই ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসেন ঢাকার হিরা খাতুন, বি-বাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম, মৌলভীবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।

ফেরত আসা পুরুষ কর্মীদের মধ্যে পাবনার জেলার শরিফ জানান, গত বছর সৌদি আরবে যান তিনি। সেখানে কাগজপত্র থাকার পরও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়। কিশোরগঞ্জের শাকিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামও এক বছরের বেশি থাকতে পারেননি। তাদের সঙ্গে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন, কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বুধবার রাতেই সৌদি আরব থেকে ২ নারীসহ দেশে ফিরেছেন ৮ কর্মীর বাক্সবন্দী মরদেহ। চলতি বছরের এ পর্যন্ত এমনি বাক্সবন্দী হন ৪০৯ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ ৩ হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি। আর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।

শরিফুল হাসান বলেন, ‘ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সে জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।’

বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর