‘ঢাকা সিটির হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন চলছে’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫৮
সংসদ ভবন থেকে: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহ কর বা হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়নের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনে অটোমেশনের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই দুই সিটি করপোরেশনে সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোকেও এই ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের লিখিত জবাব দিচ্ছিলেন তিনি।
সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসা ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে সবসময় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছে। এ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানি অর্থাৎ গভীর নলকূপের পানি ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। আর ভূউপরিস্থ অর্থাৎ পানি শোধনাগারের (নদীর) পানি প্রি-ট্রিটমেন্টসহ কমপক্ষে তিন স্তরে বিশুদ্ধ করে লাইনে সরবরাহ করা হয়।
তিনি জানান, কখনো কখনো পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে পানি দূষণের ঘটনা ঘটে, যা নিরসনে ঢাকা ওয়াসা ট্রেন্সলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিএমএ চালু করে সব পুরনো পাইপলাইন পরিবর্তনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সড়ক বাতির খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবলের সংযোগ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওইসব খুঁটিতে অবৈধ ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপসারণের দায়িত্ব ডিপিডিসি ও ডেসকো কর্তৃপক্ষের। এছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিয়মিত অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে পানির চাহিদার পরিমাণ দৈনিক ২২৫ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ঢাকা ওয়াসার পানি সবরাহের সক্ষমতা দৈনিক ২২৫ কোটি লিটার। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পানির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ২০০৩ সালে দেশের ২৭১টি উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ লাখ অর্থাৎ শতকরা ২৯ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া যায়।
মন্ত্রী জানান, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।
এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম গৃহ কর তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার হোল্ডিং ট্যাক্স