‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভিয়েতনাম’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৮
সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।
তিনি বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতার পরিচয় দিয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারী উন্নয়ন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় স্পিকার বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বিশেষ করে আবহাওয়া, পরিবেশ, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় মিল রয়েছে। দু’টি দেশই যুদ্ধ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
দুই দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফরের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব উল্লেখ করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারেও দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী হতে পারে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে ভিয়েতনামের স্পিকারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এসময় তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিক জিডিপি ৮ শতাংশ অর্জনের প্রশংসা করেন।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে— এমন আশাবাদ জানিয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মিল রয়েছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে ভিয়েতনামও উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফাম ভিয়েত চিয়েন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত স্পিকার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ