Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারক ছিলাম, আমি গর্বিত: প্রধান বিচারপতি


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৪০

ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলায় বিচারক থাকতে পেরে নিজেকে গৌরান্বিত মনে করছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলার বিচারকদের সঙ্গে আপিল বিভাগে আমিও একজন বিচারক ছিলাম। এ জন্য আমি গর্বিত।’

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কর্নারে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের লেখা ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ বই এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিচারপতির লেখা বই গৌরবের মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে একাত্তরের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আপনজনদের কাছ থেকে স্বজন হারানো বেদনাবিধূর ও লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড এবং অপহরণের ঘটনা সম্যক অবহিত হন। যা তার গ্রন্থ রচানায় উৎসারিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র পরিস্ফুটিত হয়েছে। এটি যে কোনো পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করবে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম তার এ গ্রন্থ থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসরদের নির্যাতন এবং বর্বরতার ভয়াবহ চিত্র সম্পর্কে জানতে পারবে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচাররের সঙ্গে আমিও একজন বিচারক ছিলাম আপিল বিভাগে। গতকাল রাতে যখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের এ বইটি যখন পড়ি সেখানে দেখলাম তিনি অনেক এভিডেন্স কোট করেছেন সংক্ষিপ্তভাবে। আমরা আদালতে প্রত্যেক এভিডেন্স টপ টু বটম পড়েছি। বইয়ে আমার আবার স্মৃতিচারণের মতো মনে হলো যে-আবার সব কিছু দৃশ্যপটে ভেসে উঠছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ওপর একজন বিচারপতির লেখা বই, এটি আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়।’

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের পরিচালায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের পদমর্যাদায় থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রমুখ। এ সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বুদ্ধিজীবী হত্যা মাহমুদ হোসেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর