Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ট্রাম্পপ্রীতির কারণে কি ফিলিস্তিন ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুপ’


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:০২

সংসদ ভবন থেকে: ফিলিস্তিন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি পরিকল্পনা করেছে যা ফিলিস্তিনিদের ওপর আঘাত হানতে পারে বলে মনে করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্যালেস্টাইনের পক্ষে কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মেনন বলেছেন, ‘ট্রাম্পপ্রীতির কারণেই কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চুপ?’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এ সব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘প্যালেস্টাইন সমস্যা দীর্ঘদিনের এবং প্যালেস্টাইন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে প্যালেস্টাইনিদের সংগ্রামে সমর্থন করা। সম্প্রতি দেখলাম, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প তিনি যেদিন তার অভিসংশনের প্রক্রিয়া চলছে সেই দিনই তিনি নেতানিয়াহুকে সামনে নিয়ে এবং আরেকজন বিরোধী নেতাকে সামনে নিয়ে প্যালেস্টাইন সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। যেখানে প্যালেস্টাইন সম্পর্কে দুই রাষ্ট্রের সমাধান যেটা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব কর্তৃক স্বীকৃত। সেই সামাধান চুক্তি সম্পূর্ণভাবে নসাৎ করে সমস্ত প্যালেস্টাইনকে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, ‘পরিকল্পনার মধ্যে যেটুক প্যালেস্টাইনের জমি রয়েছে সেটি হচ্ছে পুরনো প্যালেস্টাইনের মাত্র ১২ শতাংশ। তাও এটাকে বিক্ষিপ্তভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। ওই পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, প্যালেস্টাইনের সমাধানের ক্ষেত্রে প্যালেস্টাইনে কোনো আর্মি থাকতে পারবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিরস্ত্র করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘প্যালেস্টাইনের পক্ষে বাংলাদেশ সবসময় দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কাছে যারা ছিলেন, তখন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল। তখন ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের রজতজয়ন্তী উৎসব পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন তখন যে তিনজনকে ডেকেছিলেন তার মধ্যে একজন ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। কিন্তু অবাক হচ্ছি, ইসরাইলের এ পরিকল্পনার ব্যাপারে একদম কোনো শব্দ, একটি শব্দও তারা উচ্চারণ করেনি।’

বাম নেতা মেনন বলেন, ‘প্যালেস্টাইনের জনগণ ওই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখান করেছে, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসি প্রত্যাখান করেছে। তারপরেও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন? এটা ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেবের ভয়ে কিনা? কারণ ডোনাল্ড সাহেব ক’দিন পর ভারত যাবেন সেখানে মোদী সাহেবের সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সেখানে বাংলাদেশ কোন অবস্থানে থাকবে?’

ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুইদিন আগে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানেও এ সম্পর্কে বলেননি। প্যালেস্টাইনের সমস্যার কথা দেখি নাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সুদূর ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছেন। তার প্যালেস্টাইন সম্পর্কে নীরবতা আমি বুঝি না, এটা কোন পররাষ্ট্র নীতি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি প্রীতি থেকে কি না? আমি ৩০০ বিধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি।’

এরপরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ফ্লোর নিয়ে বলেন, ‘প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আমাদের নীতি আজও বলবৎ আছে। সেদিন ওআইসি’র সভায় আবারও তা বলেছি। সুতরাং এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।’

ইসরায়েল জাতীয় সংসদ ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিন সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

বিদেশ বিভুঁই। ছবিনামা-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর