Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অর্থনীতিকে জিম্মি করা চাই না’


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৪৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেছেন, নির্বাচন একটা ধারাবাহিক সিস্টেমে হওয়া উচিত। এখানে অর্থনীতিকে, যেন কোনভাবেই রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অর্থনীতিকে জিম্মি করা হয়েছে, আমরা এটা কোনভাবেই চাই না।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই‘র ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এদিন রাজধানীর গলফ গার্ডেন, আর্মি গলফ ক্লাবে ঐতিহ্যবাহী মেজবান-এর আয়োজন করা হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, আমরা ঢাকা চেম্বার থেকে সকল রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করবো, অর্থনীতিকে রাজনীতির বাইরে রাখেন। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে, রাজনীতির কারণে যেন তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের এই দাবি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক ছিল সেখানে আমরা ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, তারল্য সংকট থাকলে তা দূরীকরণে কাজ করবে। কিছু কিছু ব্যাংকে স্বল্প মেয়াদে তারল্য সংকট হচ্ছে। কোন কোন ব্যাংকে বেশিও আছে। ফলে এটি সমন্বয়ের একটা বিষয় রয়েছে।

আবুল কাসেম খান বলেন, ব্যাংকের সুদের হার যাতে না বাড়ে এটাই আমাদের প্রধান দাবি। সুদের হার বেশি হওয়ায় এটা ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধিতে আমরা উদ্বিগ্ন। হঠাৎ করে ব্যাংকের সুদের হার দুই, তিন ও চার শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সত্যিকারভাবেই উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ডিসিসিআই‘র ৬০ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে সাত আথবা আট ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। গত ৬০ বছরে ডিসিসিআই অনেক কিছু করেছে। বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে আমাদের অবদান অনেক। আমাদের স্বপ্ন ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এবং ২০৩০ সালে আমরা বিশ্বের সেরা ৩০ তম অর্থনীতির দেশ হতে পারি, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী বছর কিংবা সামনের তিন চার বছরে প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ৯ শতাংশ দেখতে চায়। আর এটা করতে আমাদের অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন করতে হবে। বর্তমানে জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশ বিনিয়োগ হচ্ছে। তবে ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়া জিডিপির ১০ থেকে ১২ শতাংশ বিনিয়োগ হচ্ছে। সরকারকে বলছি, আমাদেও যাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাংশ হয়, সেজন্য কাজ করতে হবে।

সারাবাংলা/ জিএস/ এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর