সরকারি চাকরি আইনের ৪২ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১১
ঢাকা: ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি দণ্ডিত সরকারি কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো.ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, লেজিসেলেটিভ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি আইন অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার এক বছরের বেশি সাজা হলে তার চাকরি যাবে। তার মানে এক বছরের কম সাজা হলে চাকরি যাবে না। কিন্তু আদালত অবমাননার আইনে বলা আছে ছয় মাস সাজা হলে চাকরি যাবে। তাহলে, আদালত অবমাননার আইনে কোনো কর্মকর্তার ছয় মাসের সাজা হলে তার চাকরি যাবে না। বিষযটা সাংঘর্ষিক। শুনানির পর আদালত রুল জারি করেছেন।’
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের অধিক মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে, উক্ত দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ দেওয়ার তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।’
আর ৪২ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাহাকে নিম্নবর্ণিত যেকোনো দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, (ক) তিরস্কার; নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; (গ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; অথবা (ঘ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়।
আইনের এ দু’টি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।