ইঁদুরের কারণে ৫ বছরে পৌনে ৫ লাখ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৫
সংসদ ভবন থেকে: ইঁদুরের কারণে গত পাঁচ বছরে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, প্রতিবছর ইঁদুরের কারণে মাঠের ফসলের ৫ থেকে ৭ শতাশং এবং গুদামজাত শস্যের ৩ থেকে ৫ শতাংশ নষ্ট হয়। এ কারণে ফসল রক্ষায় ইঁদুর নিধনে সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইঁদুরের আক্রমণে ২০১৮ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ৯০ হাজার ৩৮৫ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে ৮৮ হাজার ৮৪৪ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ৯৪ হাজার ৩৮৮ মেট্রিক টন ও ২০১৪ সালে ৯৬ হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট করেছে ইঁদুর।
একই প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, প্রতিবছর ইঁদুরের আক্রমণে ৫ থেকে ৭ শতাংশ আমন ধান, ৪ থেকে ১২ শতাংশ গম, ৫ থেকে ৭ শতাংশ আলু ও ৬-৯ শতাংশ আনারস নষ্ট হয়। ইঁদুরের কারণে গড়ে মাঠের ফসলের ৫ থেকে ৭ শতাশং এবং গুদামজাত শস্যের ৩ থেকে ৫ শতাংশের ক্ষতি হয়। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে ২০১৮ সালে। এ বছর ইঁদুরের আক্রমণে এক লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ফসলের ক্ষতি হয়।
সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক জানান, রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি বন্ধের লক্ষ্যে সরকার ‘বালাইনাশক আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। নতুন বালাইনাশক বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। মাঠ পর্যায়ে প্রত্যেক উপজেলায় বালাইনাশক ডিলারের দোকান, গুদাম পরিদর্শন করতে বালাইনাশক পরিদর্শক রয়েছেন। নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবসময় তৎপর রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোনো ভেজাল বা অননুমোদিত নিম্নমানের বালাইনাশক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।