Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংখ্যানুপাতিক ভোটে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তাব জাপা’র


১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:২২

সংসদ ভবন থেকে: সংখ্যানুপাতিক ভোটের হিসাবে জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের। একইসঙ্গে তিনি সংসদ কার্যকর করার জন্য শুধু মন্ত্রী ছাড়া সরকারি দলের সব সদস্যের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার বিধান চালু করারও প্রস্তাব করেন তিনি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব প্রস্তাবনা রাখেন।

বিজ্ঞাপন

জি এম কাদের বলেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচনি ব্যবস্থা। পৃথিবীর বহু দেশে সংখ্যানুপাতিক হারে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে যে দল শতকরা ২০ ভাগ ভোট পাবে, সেই দল সংসদের মোট আসনের ২০ ভাগ সংসদ সদস্য পাবে। এতে নির্বাচনি ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা হবে না। বরং নির্বাচনি ব্যবস্থা সুসংহত হবে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সরকারি দলের কোনো সংসদ সদস্য সংসদে নিজ দলের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন না। সংবিধানের ধারার বিরোধিতা করে আংশিক সংশোধনীর প্রস্তাব রেখেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বলেন, অনুচ্ছেদটি পুরোপুরি বাতিল হোক— এটা চাই না। তবে সংসদীয় ব্যবস্থার যে পদ্ধতি আমাদের দেশে চালু আছে, সেটা সংসদে সরকারি দলের সদস্যদের সরকারি কর্মকাণ্ডের কোনো বিষয়ে বিরোধিতা কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে জাতীয় সংসদ। কিন্তু এই নিয়মে ঘাটতি রয়েছে। ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির সরকারে সরকারি দলের শুধু মন্ত্রীরা ছাড়া বাকি সব সদস্য সরকারের যেকোনো বিষয়ে সমালোচনা করতে পারে এবং সরকারের বিপক্ষে ভোট দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

জি এম কাদের বলেন, বাজেট ও অভিশংসন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারি দলের সদস্যরাও যেন সরকারের বিপক্ষে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে সংসদ কার্যকর হবে।

বিরোধী দলের উপনেতা আরও বলেন, সংসদে সমালোচনা হলে সংসদ প্রাণবন্ত হয়। বিরোধী দলের সদস্যদের কোনো বিষয়ে কোনো সুপারিশ মেনে নেওয়া হলে তা সংসদকে কার্যকর করে।

জি এম কাদের বলেন, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব। এই বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে, কিন্তু বেকারের তুলনায় কর্মসংস্থান বাড়ছে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মের উপযোগী করে ঢেলে সাজাতে হবে, তাতে বেকার সমস্যা কিছুটা হলেও দূর হবে।

মাদকের মারাত্মক ছোবল নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে, তা সত্যিই আশঙ্কাজনক। গত বছর মাদক বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় এ অভিযান সফল হচ্ছে না।

জি এম কাদের আরও বলেন, দেশের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা। প্রতিনিয়তই জনসংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনসংখ্যার দেশ প্রথমে চীন, পরে ভারত। কিন্ত বাংলাদেশের জনঘনত্ব চীনের চেয়ে আট গুণ, ভারতের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি। এ সমস্যার সমাধান করা জরুরি।

জাতীয় পার্টি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধী দলীয় উপনেতা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর