১০ বছরে ক্যাডার নিয়োগ ৩০ হাজার, নন-ক্যাডার ৬৭ হাজার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৫
সংসদ ভবন থেকে: ২০১০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) মাধ্যমে ৯৭ হাজার ৫০৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজার ৩০১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ৬৭ হাজার ২০৩ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সদস্য মনজুর হোসেন।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ১৫৩ জন নারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ২৮তম, ২৯তম, ৩০তম ও ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তারা এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিশেষায়িত পদে ও যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবলের সংকট রয়েছে, সেসব সংস্থায় উপযুক্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে সরকার দাফতারিক কার্যক্রম চলমান রাখে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, প্রশাসনিক ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যেসব দফতরে দ্রুত যোগতাসম্পন্ন জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হয় না, প্রশাসনিক অনুরোধে সেসব সংস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে জনবল সংকট নিরসন করা হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলে স্বাভাবিক দাফতরিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে।
ক্যাডার নিয়োগ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রশ্নোত্তর পর্ব মো. ফরহাদ হোসেন সংসদ অধিবেশন