Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:১৪

ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমে (ইপিএস) দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের সমস্যা ও তার সমাধানে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

গতকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে ইপিএস কর্মীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০১৯ সালের সব কার্যক্রম তুলে ধরেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম।

ইপিএসে কর্মরত বাংলাদেশিদের সমস্যা ও তার সমাধানই ছিল এই মতবিনিময় সভার মূল উদ্দেশ্য। আলোচনায় উঠে আসে বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়সহ নানা প্রসঙ্গ।

মতবিনিময়ে ইপিএসভিত্তিক সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইপিএস কর্মীদের নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার দিক সমাধানের লক্ষ্যে দূতাবাসের কাছে তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন।

তবে মতবিনিময়ে বোয়েসেলে জমা দেওয়া জামানত ও বিমার বিষয়টি উঠে এসেছে। এ বিষয়ে ইপিএস কর্মীরা দূতাবাসে তাদের প্রস্তাবনা রাষ্ট্রদূতকে প্রদান করেন।

সেখানে বলা হয়, যেকোনো আইন প্রণয়নের তিন থেকে চার মাস আগে তা ঘোষণা দেওয়া এবং প্রবাসীদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা। জামানতপ্রথা বিলুপ্ত করে বিমাপ্রথা চালু করা। যদি তা সম্ভব না হয়, জামানতের টাকার পরিমাণ কমানো এবং ইনক্রিমেন্টের মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। রসিদ প্রদান করা। জামানত বা বিমার প্রিমিয়ামের (যদি বিমা সম্ভব হয়) রসিদসহ সব ধরনের কাগজ জামানতকারীর বা বিমাকারীর কাছেও এক কপি করে দেওয়া। জামানত বা বিমার টাকা কোথায় জমা আছে, সেটা প্রদানকারীর যেন সব সময় বোয়েসেল অ্যাপসের মাধ্যমে দেখতে পায়, সেটা নিশ্চিত করা। কোন কোন শর্ত ভঙ্গ করলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না, সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা। কোম্পানি পরিবর্তন যেহেতু বৈধ আছে, তাই কোম্পানি পরিবর্তনের দোহাই দেখিয়ে জামানত বা বিমার টাকা বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। ফেরতের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে, তা জামানতপত্রে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকা ও ওয়েবসাইটে এর কপি আপলোড করা। ফেরতের সময় লভ্যাংশসহ ফেরত দেওয়ার নিশ্চয়তা। ই-৯ ভিসা নিয়ে বৈধভাবে যেকোনো সময় একেবারে ফেরত গেলে টাকা ফেরত প্রদান করা।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া কোরিয়ায় কেউ যদি ভিসা পরিবর্তন করে, তবে ভিসা পরিবর্তনের প্রমাণ দেখিয়ে আবেদন করলে তার জামানত ফিরিয়ে দেওয়া। কর্মরত অবস্থায় কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে, তবে তার পরিবারের কাছে জামানতের টাকা পৌঁছে দেওয়া। যদি শর্ত ভঙ্গ না হয়, তবে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ণ জামানত ফিরিয়ে দেওয়া। আবেদন করার পদ্ধতি সরাসরি বোয়েসেলে না গিয়ে ফ্যাক্স কিংবা ই-অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করা।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনাদের কল্যাণের জন্য করণীয় সব উদ্যোগ আমরা নেব। এ বিষয়ে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

ইপিএস দক্ষিণ কোরিয়া