‘করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুধু আইইডিসিআরেই’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কোনো পরীক্ষা আইইডিসিআর বাদে দেশের অন্য কোথাও করানো যাবে না বলে জানিয়েছেন, জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে ৩ জন চীনা নাগরিক আছেন। আমরা কোনো নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। সুতরাং আমরা বলতে পারি বাংলাদেশে কোনো করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নেই। তাই করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা কারও পরিচয় প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, চীন বা সিঙ্গাপুর থেকে আসলেই কাউকে আইসোলেশনে রাখার প্রয়োজন নেই বলে দেওয়া বক্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দেশে আসা কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসছে কিনা বা তার আশেপাশে রোগীর সংখ্যা কেমন ছিল সেসব বিষয় মাথায় রেখে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে আইইডিসিআর এর পরামর্শ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
সিঙ্গাপুরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশটিতে আরও দুটি নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে তবে তারা কেউ বাংলাদেশি নন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা পাঁচ জনই আছে এবং তাদের অবস্থা অপরিবর্তিত। তারা টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ পেয়েছে ৯৩৭ জনের। রেজাল্ট এখনও পেন্ডিং আছে ১০৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪ জন।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। চীনে ছুটি শেষে সবাই কর্মস্থলে ফিরলে আবার বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ হাজার ৪২৯ জন। নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৬২ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ৫১ জন শুধু চীনেই আক্রান্ত।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর বয়স ২৯ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত শিশু আক্রান্তের হার কম। নতুন করে আক্রান্ত কোনো দেশ নেই বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।