সংসদ ভবন থেকে: গাজীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) আইন ২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুনঃনিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি হবে দেশের ষষ্ঠ কোনো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। এর প্রধান কার্যালয় থাকবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায়। কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান ও চার জন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কর্তৃপক্ষের সচিব কমিটির সচিব হবেন। সদস্যরা তিন বছরের জন্য মনোনীত হবেন।
বিলে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ আইনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম হাতে নেবেন। কৃষি ভূমি,বনভূমি, নিম্নভূমি ও জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুনঃনিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না।
গাজীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনা, উন্নয়ন, সংস্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়নকে বিলের উদ্দেশ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৪-এর কার্যবিবরণীতে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসাধারণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) গঠন করা হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনে’র খসড়া প্রণয়ন করা হয়। গত বছরের ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদিত হয়। বিলে সরকারি টাকা ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।