ব্যবসায়ী আজিজ হত্যা মামলার রায় পেছাল
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:১৮
ঢাকা: রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান রায় তারিখ পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ তারিখ ঠিক করা হয়।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাত জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।
চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলাটিতে দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক আছেন। নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাজসাক্ষী করে উপস্থাপন করা হয়।
২০০০ সালের দিকে এ মামলার চার্জগঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। পরে ২০১৭ সালের দিকে স্থগিতাদেশ উঠে গেলে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমসহ সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।