১৯৫২ সালেই ভাষার জন্য আন্দোলন ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। ছাত্রদের বহিষ্কার, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেফতার কোনো কিছু থেকেই থামানো যায়নি বাংলার দামাল ছেলেদের। ২১ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে হরতালের ডাক দেয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করে ছাত্ররা। সকাল ৯টায় লোকে লোকারণ্য হয়ে ঐতিহাসিক আমতলা।
ওইদিন আগে থেকেই জারি ছিল পাকিস্তান সরকারের দেওয়া ১৪৪ ধারা। সমবেত ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্লোগান দিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে এগুতে থাকে। হঠাৎ ঘাতকের নির্বিচার বুলেটে রাজপথ লাল হয়ে ওঠে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রফিক, জব্বার, সালাম ও বরকত। গুলির আঘাতে রফিকের মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে পড়ে।
মাতৃভাষার জন্য রক্ত ঝরানোর গল্প শুধু বাংলাদেশেরই। এমন বিরল দৃষ্টান্তে স্তব্ধ গোটা পৃথিবী। ভাষার জন্য রক্ত ঝরার ৪৭ বছর পর ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকেই বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
সেই ঐতিহাসিক আমতলা (এখনকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেট এলাকা) এখন হকারদের দখলে। সে গেটের সামনে যাওয়াই দায়। বিভিন্ন সময় হকারদের দখল থেকে মুক্ত করা গেলেও আবারো অদৃশ্য শক্তির মদদে বসে হকাররা। সম্প্রতি এর ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান