প্রকৌশলী গবেষণা কাউন্সিল বিল পাসের সুপারিশ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:২০
ঢাকা: জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল-২০২০’ পাসের সুপারিশ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এছাড়াও বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. শফিকুল আজম খাঁন, মো. মোজাফ্ফর হোসেন, মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, শিরীন আহমেদ, সেলিমা আহমাদ ও হাবিবা রহমান খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, জাতীয় প্রয়োজনে প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসহ সবধরণের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন-রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণে গত ১৫ জানুয়ারি সংসদে এই বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনের আওতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিলের আওতায় পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সব ধরণের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা হবে।
বিলে গবেষণা কাউন্সিল পরিচালনায় একটি গভর্নিং বডির প্রস্তাব করা হয়েছে। যার চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ দেবে। চেয়াম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। এছাড়া কাউন্সিলের একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বিলে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কাউন্সিলের কাজের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ ছয় সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী, শিল্প উদ্যোক্তা বা শিক্ষাবিদের সমন্বয়ে প্যানেলটি হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।
এছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন সহায়ক হবে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।