শুনানি শেষ, নথি পেলে জামিন প্রশ্নে আদেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:১৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষ। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে দুপুর দুইটায় শুনানি শুরু হয়। দুইপক্ষের শুনানি শেষ হয় বেলা সাড়ে তিনটায় ।
শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘উভয়পক্ষকে শুনলাম। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের নথি উচ্চ আদালতে পৌঁছালে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।’
শুনানির আগেই এজলাস কক্ষে ভিড় করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তবে আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলার কারণে এজলাস ছেড়ে ১০ মিনিটের বিরতিতে যান বিচারকরা। দুপুর আড়াইটায় আবারও শুরু হয় শুনানি ।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। জামিন শুনানিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ ছাড়া কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া জামিনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাই তার জামিন দেওয়া হোক।
শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে দুপুর থেকে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার আবেদনের ওপর শুনানি করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া রোববার দুপুর ২ টায় জামিন আবেদনের শুনানির সময় ঠিক করেন আদালত।
এ দিন সকালে খালেদা জিয়ার আপিলের গ্রহণযোগ্যতা শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা দুই ঘণ্টার জন্য পিছিয়ে দেন আদালত। পরে বেলা ১২ টায় এ মামলার শুনানি শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আপিল গ্রহণের ওপর শুনানি করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতকে হাইকোর্টে নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পরে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানান, তারা এই আবেদনের কপি পেয়েছেন একেবারেই শেষ মুহূর্তে তাই প্রস্তুতি দরকার। এ সময় রোববার জামিন শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দীন রোডের কারাগারে রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএম/জেডএফ
আরও পড়ুন : জামিন দরকার নেই, একমাসেই আপিল নিষ্পত্তি সম্ভব