প্রেসক্লাবে দাঁড়াতেই পারল না বিএনপি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:০৫
ঢাকা: বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেলসহ কয়েক শ’ নেতাকর্মী। তারা এসেছিলেন কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শ্রমিকদল আয়োজিত মানববন্ধনে যোগ দিতে।
তাদের আগেই সেখানে হাজির হন প্রায় সমসংখ্যক পুলিশ সদস্য। ছিলেন বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও। পাশেই ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠান।
সঙ্গত কারণেই প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়বাদী শ্রমিক দলের মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে আপত্তি জানায় পুলিশ। পরে প্রেসক্লাবের ভেতরেই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে যান বিএনপি নেতারা।
সেখানে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার সুচিকিৎসার দাবিতে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জাতীয় প্রেসক্লাবের পেছনে ওসমানী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠান আছে, সেকারণে আমাদের বাইরে মানববন্ধন কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি।’
‘বলা হয়েছে, সরকারের নিষেধ, এখানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। শুধু পুলিশ নয় এখানে অন্যান্য বাহিনীও আছে। কাজেই আমরা আইন অমান্য করতে চাই নি। এই জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকের এই কর্মসূচি অন্য এক সময় পালন করব’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়ে বলা হয় যে, এখানেও দাঁড়ানো যাবে না। প্রেস ক্লাবের ভেতরে অনুষ্ঠান করা নিষেধ। জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখানে আমরা দাঁড়াচ্ছি না। আমরা চলে যাচ্ছি। পুলিশে মানা করে, আপনারাও মানা করেন। আমরা যাব কোথায়? আমরা চলে যাচ্ছি, যাওয়ার জন্য এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি প্রেসক্লাবের ভেতরে কোনো অনুষ্ঠান করা যায় না। আর আমরা কোনো অনুষ্ঠানও করছি না এবং আমাদের পক্ষ থেকে আর কেউ বক্তব্যও রাখবে না। এখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা কাছাকাছি আসার পর আমরা তাদেরকে বলেছি, এখানে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে তারা ফিরে গেছেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন মানববন্ধনে।