এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্তির তাগিদ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:১৮
ঢাকা: সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন বক্তরা। এসডিজির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে বড় ভূমিকা রেখে চলছে। তাই নীতি কাঠামোতে তাদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘ডেলিভারিং এসডিজি’স বাংলাদেশ: রোল অব নন-স্টেট অ্যাক্টরস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘এসডিজি নিয়ে সংসদে আলাদা অধিবেশন হওয়া দরকার। তার আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সংলাপ হওয়া উচিত।’
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও রুলস অব জাস্টিজ। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেইসঙ্গে ঘটাতে হবে উত্তরণ।’ এসডিজি বাস্তনায়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্তভুর্ক্তির আহবান জানান তিনি।
ইউএনএফপিএ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আসা আর্কেলসন বলেন, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সমালোচনামূলক অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও বেশকিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। প্রান্তিক, দলিত ও বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য দরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার।’
বক্তারা বলেন, ‘বৈশ্বিক অনেক সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে দেশ। পরিবেশ দুষণ, যানজট, দুর্নীতির মতো সমস্যা রয়েছে। বাড়ছে আয় বৈষম্য। প্রচলিত ভূমিকার বাইরে অভ্যন্তরীণ ও বিকল্প উৎস থেকে সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে দেশ পিছিয়ে রয়েছে। তবে ২০১৫ সালের পর বেসরকারি খাতের ক্ষেত্রেও দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাত আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে।
এছাড়া এসডিজি নিয়ে সংসদে আলাদা অধিবেশন করার তাগিদও এসেছে বক্তাদের আলোচনায়।
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রকাশিত সিপিডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছরই দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ বাড়ছে। আর এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে তা ১ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারে পৌঁছার আশঙ্কা রয়েছে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টেইন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।