মুজিববর্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড হবে: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

ঢাকা: মুজিববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে দেশে বিদেশে আমাদের বাংলাদেশ ‘ব্র্যান্ড’র ফোকাস করা হবে। সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোকাস হবে। এটিই হবে মুজিবশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষের উদযাপনের স্পিরিট বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে দলীয় নেতাদের এ মতবিনিময় সভা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমাদের ইতিহাস, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম, আমাদের সাফল্য, আমাদের উন্নয়ন, আমাদের অর্জন ফোকাস হবে এবং দেশে বিদেশে আমাদের বাংলাদেশ হবে ‘ব্র্যান্ড’। বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে আমরা আমরা ফোকাস রাখব, সেই বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত।’

‘সংগ্রাম, আন্দোলন, ইতিহাস সাফল্য উন্নয়ন অর্জন সবকিছু এখানে আসবে। সবকিছুই ফোকাসে আসবে এবং সেটা সারা দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার এটা একটা মোক্ষম সময়, মাহেন্দ্র একটি সময়। এ সময়টিকে আমরা কাজে লাগাতে চাই, আমাদের জাতীয় স্বার্থে, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুষ্পিত আদর্শ পতাকা, শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে মহাসড়ক ধরে।’

আমরা আমাদের কাঙ্খিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে এগিয়ে যাব, এটিই এই মুজিবশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষের উদযাপনের স্পিরিট, আমাদের থিম।

‘আমাদের চিন্তাভাবনা, আমাদের আইডিওলজি এসব কিছু নিয়ে আমরা একটা বছর সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারা তথা মুজিবের ধারায় আমরা অনুপ্রাণিত করব, উজ্জীবিত করব। আমাদের চলার পথকে আরও গতিময় করব, আমরা বেগবান করবো ইতিহাস ঐতিহ্যের আলোকে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব আমাদের ইতিহাসের মহাবীর, মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু কোনো পার্টির নয়, বঙ্গবন্ধু গোটা বাংলাদেশের, বঙ্গবন্ধু দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের নেতা, তিনি মহাবীর, তিনি মহানায়ক। তাকে নিয়ে আমরা দলীয়করণ করতে চাই না। তিনি সবকিছুরই ঊর্ধ্বে। কাজেই এখানে আমরা দলমত নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যারা স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে সকলের জন্যই মুজিববর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত থাকবে। এখানে কোনো সংকীর্ণতার সুযোগ নেই।’

মুজিববর্ষ উদযাপনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমাদের জাতীয় সম্মেলনেও দাওয়াত দিয়েছি। মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা সেখানেও বিএনপি আমন্ত্রিত ছিল, তারা কেনো উপস্থিত থাকেননি বা মুজিবর্ষে অংশগ্রহণ করবে কি না, আমরা তাদের আমন্ত্রণ করব। তারা অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না।’

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ মুজিববর্ষ