ফুলে সেজেছে শহিদ বেদী
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:১২
ঢাকা: একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই প্রভাতফেরিতে জনতার ঢল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। কেউ এসেছেন সংগঠনের সঙ্গে, কেউ এসেছেন ব্যক্তি হিসেবে। তাদের সবার হাতে ফুলের তোড়া। সেসব তোড়ার স্থান শহিদ মিনারের বেদীতে। সহস্র জনতার এই ফুল দিয়েই আজ ফুলেল শহিদ মিনার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানালেন শহিদ মিনারে। এরপরই শহিদ মিনার উন্মুক্ত জনতার শ্রদ্ধা নিবদনের জন্য। মুহূর্তেই যেন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহিদ মিনার।
সেই ফুলের স্তূপকে তখন নতুন রূপ দিতে ব্যস্ত জাতীয় ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সদস্যরা। বিএনসিসি’র এয়ার উয়িং, ন্যাভাল উয়িং ও আর্মি উয়িং মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ সদস্য কাজ করছেন শহিদ মিনারে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন রোভার স্কাউটের তিন শতাধিক সদস্য। শহিদ মিনারের বেদী ও আশপাশের এলাকার শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার কাজটি যেমন তারা করছেন, একইসঙ্গে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যে ফুলের অর্পণ জাতির, সেগুলোকেও তারা সূচারুরূপে সাজাচ্ছেন বেদীতে।
বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা ফুল দিয়ে শহিদ বেদীতে ফুটিয়ে তুলবেন তিন বাহিনীর লোগো। সঙ্গে থাকবে নকশা। রোভার স্কাউট সদস্যরাও তাদের নিজেদের লোগোর সঙ্গে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলবেন বিভিন্ন নকশা। পাশাপাশি ভিন্নধর্মী ও ব্যতিক্রমী তোড়াগুলোর স্থান করে দেবেন শহিদ মিনারের পাশে।
বিএনসিসি সদস্যদের কয়েকজন বলেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। ভাষা শহিদদের প্রতি এই সামান্য কাজটুকু করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা শহিদদের সম্মান জানাতে সহযোগিতা করছি। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। আমরা যারা কাজ করছি, তারা ভাষা আন্দোলন দেখিনি। কিন্তু শহিদদের প্রতি সবর্সাধারণের ভালোবাসা দেখছি। এ অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা নেই।