রিজভীর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ!
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৩০ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৩৩
ঢাকা: খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপি অফিস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সকাল ১০টায় মিরপুর কাঁচাবাজারে বিক্ষোভ মিছিলের আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের পরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে রুহুল কবির রিজভী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার এবং ছাত্রদল ঢাকা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশের এই হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এক নগ্ন উদাহরণ। পুলিশের এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডে এটি পরিস্কার যে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের পুলিশ এখন দলীয় কর্মীতে পরিণত হয়েছে। দেশকে বানানো হয়েছে পুলিশী রাষ্ট্রে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী গায়ের জোরে শোষকে পরিণত হয়েছে।’
মিছিলের আগে দেওয়া পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে ভয়ানক অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে অনিয়ন্ত্রিত। খালি পেটেই ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে ডায়াবেটিস ওঠানামা করছে। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না, দাঁড়াতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা করা না গেলে, যে কোনো সময় অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে যেতে পারে।’
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিয়ে দল এবং তার পরিবার-পরিজনদের দাবিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না সরকার। দেশবাসী মনে করে যে, খালেদা জিয়াকে তিল তিল করে নিঃশেষ করতেই বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধান উঠেপড়ে লেগেছে। দেশবাসী আরও মনে করে যে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তার মুক্তি ছাড়া মানুষের ভোটের অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কবরস্থ হয়ে থাকবে। খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে অন্যায়ভাবে সাজানো মামলায়। শাসকগোষ্ঠী ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে কেবলমাত্র তাদের ব্যর্থতা, অনাচার ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে যাতে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পায়, সেই জন্য।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখিয়ে চিরকাল রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্যই গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা তথা রক্তপাতের মাধ্যমেই দেশশাসন করা হচ্ছে। মহাদুর্নীতি ও অবাধে লুটপাট কার্যকর রাখার জন্যই একদলীয় নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশব্যাপী শুধু হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ধ্বণি প্রতিধ্বণিত হচ্ছে। জাতিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই।’