বাংলাদেশে উগ্রবাদের ঝুঁকি কমেছে: মনিরুল ইসলাম
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২৫
ঢাকা: সবার একাগ্রতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশে উগ্রবাদের ঝুঁকি কমছে। এতে আছে মিডিয়ার ভূমিকা, প্রশাসনের দক্ষতাসহ বেশকিছু উপকরণ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) আয়োজিত উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে ঝুঁকির দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছিল ২১তম দেশ। ওই সময় পাকিস্তান ও ভারত ১০ এর মধ্যে ছিল। ২০১৮ সালে এসে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, সেখানেও বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ২৫ এ। অর্থাৎ আরও চার ধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে এসে বাংলাদেশ আর ছয় ধাপ এগিয়ে ৩১ তম হয়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশই পেছনে আছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক নিয়ে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আইইপি মানুষের ভালো থাকা ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও অর্জনযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে।
আইইপি এবার ২৩টি গুণগত ও পরিমাণগত নির্দেশকের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক-২০১৯। এসব দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ বলে জানানো হয়ে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ওই ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ২০৮। অর্থাৎ এ দেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব মাঝারি মাত্রার।
মনিরুল ইসলাম বলেন, কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরাই উগ্রবাদে বেশি জড়িয়েছে। এ কারণে আমরা সারাদেশে পাড়া মহল্লায় সব জায়গায় পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়েছি। পরিবার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। উগ্রবাদে জড়ানোর বিষয়টি প্রথম তাদের কাছেই ধরা পড়ে।
ধর্মীয় বক্তাদের নিয়েও আমরা কাজ করছি। তবে ধর্মীয় বক্তারা ওয়াজ মাহফিলে নারী ও অন্যান্য ধর্মকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন। সেটি যেন করতে না পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি। বলেন মনিরুল ইসলাম।