Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যাংকিং কমিশন গঠনের রূপরেখা দিলো সিপিডি


২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:১৪

ঢাকা: ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে রূপরেখা দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এতে ব্যাংকিং কমিশনের কার্যপিরিধি এবং সম্ভাব্য সুপারিশ ও তার বাস্তবায়নের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত ব্যাংকিং কমিশন, সিপিডি’র প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ অনেকে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং কমিশন গঠন বিষয়ে যে আলাপ আলোচনা হচ্ছে তার বিস্তারিত আমরা এখনো জানি না। গত আট বছর ধরে আমরা ব্যাংকিং কমিশন নিয়ে কথা বলে আসছি। কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য, কার্যপরিধি, কার্যপ্রণালী এবং সুপারিশ কি হতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু ধারণা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথমত কমিশনের কার্যপরিধি সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত ব্যাংকিং খাতের সঠিক তথ্য পাওয়া এবং পরিসংখ্যানের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান মূল সমস্যাগুলোর কারণ কি এবং সামনের দিনে চ্যালেঞ্জগুলো কি হতে পারে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। চতুর্থত, ব্যাংকিং খাতের সমস্যার জন্য কারা এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী দায়ী তা চিহ্নিত করতে হবে। পঞ্চমত, স্বল্প এবং মধ্যমেয়াদে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট থেকে প্রশাসনিক ও আইনগত কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তার সুপারিশ তৈরি করা।

তিনি বলেন, একটি সাময়িক কমিশন হিসেবে এর সময় নির্ধারিত থাকতে হবে। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে হবে। আগামী জুনে বাজেট আসছে। বাজেটের পর পরই যাতে কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কী পদ্ধতিতে কমিশন কাজ করবে, তার একটি অন্তর্বর্তীমূলক পদক্ষেপ দরকার। সে জন্য ব্যক্তিখাতের কয়েকজন বড় বড় ব্যবসায়ী বা নীতি নির্ধারকের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে সবার সঙ্গে বসে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। ব্যক্তি উদ্যোক্তা, সাধারণ গ্রাহক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট বড় সঞ্চয়কারী, বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক, ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, নারী, যুবক এবং ঢাকার বাইরের জনগণ। অর্থাৎ যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীল তাদের সবাইকে আলোচনার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।

চতুর্থত হলো, ব্যাংকিং কমিশনের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। বিভিন্ন সময়েই কমিটি, কমিশন ও তদন্ত কমিশন গঠন হয়ে থাকে। সেগুলোর সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকে না। এ কারণে এই কমিশন গঠন হলে তাকে পূর্ণ স্বচ্ছ হতে হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, কমিশনের সদস্যদের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সততাই হবে একমাত্র যোগ্যতা। যাতে তারা নির্মোহভাবে প্রভাবের বাইরে থেকে কাজ করতে পারেন। কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

এ ছাড়া, সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন, অর্থ্যাৎ কমিশন যে সুপারিশ দেবে তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। কমিশন গঠনের সময়ই স্পষ্টভাবে দিক নির্দেশনা দিয়ে একটি রোডম্যাপ দিতে হবে। একইসঙ্গে সুপারিশগুলো কবে থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে তারও একটা ঘোষণা থাকতে হবে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ব্যাংকিং কমিশন গঠন সিপিডি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর