ওরা ১০ জন, কারখানা থেকে বন্দরে নেওয়ার পথে লোপাট করে পণ্য
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রফতানির জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়ার পথে কাভার্ড ভ্যান খুলে পোশাক চুরির সঙ্গে জড়িত ১০ জনের একটি চক্রের সব সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমে একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে চুরির সময় হাতেনাতে দু’জনকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশ। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরও দু’টি কাভার্ড ভ্যান থেকে চুরির সঙ্গে জড়িত আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে টানা অভিযানের পর শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অভিযানের সমাপ্তি টেনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার ১০ জন হলো- মো. সুমন (৩১), মো. ইউসুফ (৩৫), তাজুল ইসলাম হাসান (২২), রুবেল হোসেন (২০), মো. সুমন (১৯), মো. বোরহান (২৬), নুরুনবী সোহাগ (৪০), মো. মাসুদ (৩০), মাহাবুবর রহমান শাওন (৩২) এবং সাইফুল ইসলাম রিপন (২৩)।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. নুরুল হুদা সারাবাংলাকে জানান, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য নামানোর সময় চালক মোহাম্মদ সুমন এবং সহকারী মোহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এসময় তাদের কাছে পাওয়া যায় ৪০৩ কার্টনে ৯ হাজার ৮০১ পিস তৈরি পোশাক।
সুমন ও ইউসুফের তথ্য অনুযায়ী কিউএনএস কনটেইনার ডিপোতে অভিযান চালিয়ে আরো দু’টি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। সেখানে আটক হয় এই চক্রের সদস্য তাজুল হাসান, রুবেল হোসেন এবং সুমন নামে আরও তিন জনকে। এই দুটি কাভার্ড ভ্যানের একটি থেকে ৩৯৮ কার্টনে ৯ হাজার ৬৩৭ পিস এবং অপর কাভার্ড ভ্যান থেকে ৫৮৮ কাটনে ১০ হাজার ৩২ পিস তৈরি পোশাক চুরি করেছিলো এই চক্রটি।
শেষ পর্যায়ে পুলিশ অভিযান চালায় রাজধানী ঢাকায়। এসময় ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এই চক্রের সদস্য নুরন্নবী প্রকাশ সোহাগ, মাহবুবুর রহমান প্রকাশ শাওন, মোহাম্মদ মাসুদ এবং সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রিপনকে আটক করে। চুরি যাওয়া বাকি সব মালামালই উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে. যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এডিসি আরেফিন জুয়েল সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাভারের নবীনগরের পার্ল গার্মেন্টস নামে একটি কারখানা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানি পোশাক আনার সময় তিনটি কাভার্ড ভ্যান থেকে এসব মালামাল চুরি হয়েছে। ইপিজেড ফাঁড়ির সামনে পুলিশ যদি বিষয়টি উদঘাটন করতে না পারত, তাহলে নির্ধারিত পণ্যের কম পণ্যই রফতানি হয়ে যেত। পণ্য বিদেশে পৌঁছার পর পণ্য কম পেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হত।’
এই ঘটনায় চট্টগ্রামের মাইশা এন্ট্রারপ্রাইজের ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার আনোয়ার উল্লাহ বাদি হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি জানিয়েছেন।