‘বিভাগীয় শহরের শিল্পকারখানা ইপিজেডে স্থানান্তর করা হবে’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:১৯
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ঢাকাসহ ৮ বিভাগীয় শহরে যে সব শিল্পকারখানা রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে ইপিজেডে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। ট্যানারিশিল্প যেভাবে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারে নেয়া হয়েছে। একইভাবে বড় বড় শহর থেকে শিল্প কারখানা ইপিজেডে স্থানান্তর হবে। এছাড়া, সারাদেশের ১১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে সব মহানগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বালু, তুরাগসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনান্য নদ নদীর নাব্যতা এবং কর্ণফুলী নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর ৩৬তম বৈঠক হয়। সভায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভুমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহান খান বলেন, শিল্প কারখানার দুষণে শিকার হয়ে বুড়িগঙ্গা নদী আজ মৃতপ্রায়। তিনি বলেন, একই সঙ্গে নতুন করে ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহর এবং বড় বড় শহরে যাতে নতুন করে কেউ শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা একটা নির্দেশনা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যে সব শিল্পকারখানায় এখনো ইপিবি চালু করেনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নদীর তীর জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে নতুন করে কোন স্থাপনা নিমার্ণ না করে সেজন্য জেলা পরিষদকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিল্প কারখানা কিংবা অন্য কোনভাবে নদী দখল ও দুষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এখনো যারা নদীর তীর দখল করে আছে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা করে বিআইডব্লিউটিসিএ টাস্কফোর্সের কাছে জমা দিবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমরা ১৩ টি খাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি খাল উদ্ধারের কাজ শেষ হয়েছে। আবার একই জায়গায় উদ্ধার করা খাল নতুন করে ভরাট করছে। আমরা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম