বই দেখার দিন ফুরোলো, সময় এখন বই কেনার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:২০ | আপডেট: ১০ মে ২০২২ ১৮:৩৪
অমর একুশে বইমেলার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য অগুনতি পাঠকের বই কিনে বাড়ি ফেরা। ছুটিরদিন শনিবারের বইমেলায় এমন দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ে। তাই থাক প্রকাশকের মুখে হাসি। এই হাসি বাকি সপ্তাহ জুড়েই অটুট থাকবে বলে বিশ্বাস প্রকাশকদের।
সন্ধ্যার টইটম্বুর মেলায় বই বিক্রি হয়েছে বেশ। এর মধ্যেই ঘুরছিলেন কবি গুলতেকিন খান ও আফতাব আহমেদ দম্পতি। মেলায় এর মধ্যেই তাম্রলিপি থেকে প্রকাশিত হয়েছে গুলতেকিন খানের অনুবাদ করা কবিতার বই ‘চল বিশাখা বিষুব ছেড়ে’। তবে প্রকাশিত হচ্ছে না দুজনের কাব্যোপন্যাসটি। আলাপে গুলতেকিন জানান, ২৪ দেশের কবিতার অনুবাদে তার কবিতার বইটি এলেও দুজনের কাব্যোপন্যাস ‘খোঁজ’ শেষ করা হয়ে ওঠেনি। তাই এবারের মেলায় আসছে না বইটি।
তবে মেলার একুশতম দিনে নতুন বই এসেছে ২৪২টি। আর ২১ দিনে নতুন বই এলো ৩ হাজার ৬৩১টি। আজকের নতুন বইয়ের মধ্যে রোদেলা প্রকাশনী থেকে এসেছে স্বকৃত নোমানের ‘অগ্রনায়কেরা’। পদক্ষেপ এনেছে শীলা সেনগুপ্তার ‘যাঁরা এনেছিল বাংলা ভাষা’।
মেলার ২২তম দিনে এসে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বইয়ের মাঝে পাঠক খুঁজে নিচ্ছেন তার পছন্দের বইটি। বিচিত্র বিষয়ে পাঠকের আগ্রহ। কবিতা যদিও সংখ্যায় এগিয়ে তবে সিরিয়াস বইও কম নয় মেলায়। বাতিঘরে হাসান মোরশেদের মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা গ্রন্থ ‘নারী সাক্ষ্যে জেনোসাইড’ নিয়ে পাঠকের আগ্রহ ছিল বেশ। ঐতিহ্য এনেছে নজরুল সৈয়দের ‘নভেম্বর ১৯৭৫’।
তবে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সে ভিড়টা শিশু, কিশোর, তরুণ আর বয়স্কদের মিশেল। এখানে ভালো বিক্রি হচ্ছে শাহরিয়ার খানের কার্টুন ‘বাবু সিরিজ’, পলাশ মাহবুবের ‘কুক্কুরু কু’সহ কমিকসের বই।
মূল মঞ্চে এদিনের আলোচনার বিষয় ছিল বাংলা একাডেমি প্রকাশিত শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ বইটি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মফিদুল হক। সভাপতিত্বে ছিলেন মুহাম্মদ সামাদ। লেখক বলছি মঞ্চে এদিন পাঠকের মুখোমুখি হয়েছেন প্রাবন্ধিক সলিমুল্লাহ খান।
ছুটির শনিবার সকালটায় ছিল শিশুপ্রহর। বাবা মায়ের হাত ধরে এদিনও শিশু চত্বরে বইয়ের আনন্দে হেসেছে শিশুরা। বাড়তি ছিল সিসিমপুরের ইকড়ি, হালুম।