দ্রুত যোগদান চায় ৪৩ জেলার নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:০৯
ঢাকা: দ্রুত যোগদান নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ৪৩ জেলায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বারবার প্রাথমিক শিক্ষা খাতে নিয়োগ বিলম্বের পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওয়াতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অংশ নেন। তারা বলেন, আমরা মেধারভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছি। অথচ যারা হাইকোর্টে রিট করেছে তারা মেধায় টেকেনি। রিটকারীদের জন্য আমরা বারবার পিছিয়ে যাই। এটা চলতে পারে না। বারবার নিয়োগ বিলম্বের পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওয়াতায় আনতে হবে। অতিদ্রুত নিয়োগ নিশ্চিত করে পদায়ন করতে হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই যোগদান কার্যকর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা বলেন, আপনি বলেছেন মুজিববর্ষের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। তবে আমাদের ১৮ হাজার ১৪৭ জনের পরিবারে মুজিববর্ষের আরেক বড় পুরষ্কার আমাদের চাকরি পাওয়া। মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন শেষ হওয়ার আগেই আমাদের পুরষ্কার উপভোগ করবার সুযোগ দিবেন বলে আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ লাখ প্রার্থীর মধ্যে গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে আমরা ১৮ হাজার ১৪৭ জন উত্তীর্ণ হই। গত ১৩ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আমাদের ১৮ হাজার ১৪৭ জনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ৬১ জেলার প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিয়োগপত্র ডাকযোগে পেতে থাকি। এমনকি ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে যোগদানপত্রের স্মারক নম্বরও পেয়ে যাই। আমরা চলমান চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে যোগদানের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আকস্মিকভাবে জানতে পারি ৪৩টি জেলার যোগদান স্তগিত হয়েছে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে। এমন অবস্থায় আমরা পূর্বের চাকরি হারিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে বেকার অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২২টি জেলা যোগদান করার কথা থাকলেও মাত্র ১৮টি জেলা যোগদান করতে পেরেছে। বাকি চার জেলার নির্বাচিত শিক্ষকরা যোগদান করতে গিয়েও দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে শূন্যহাতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক কবির আহম্মেদ, ইমরুল হাসান, মোশাররফ হোসাইন, আবুল মমিন সরকার ও ইশতিয়াক বাপ্পীসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়োপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।