বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা পৃথিবীতে বিরল: তোফায়েল
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:২৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা। তার সঙ্গে তুলনা হয়না। এমন বিচক্ষণ নেতা ছিলেন পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দেশ, বাঙালি ও বিশ্বের বন্ধু। সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে কিন্তু জনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা কি পরিমাণ ছিলো তা মাপা যাবে না। তিনি বাংলার মানুষকে কতো গভীরভাবে ভালোবাসতেন, এটা আমরা সকলেই জানি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে “বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অমলিন স্মৃতি’’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই সেমিনারের আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে তৈরি করেছেন। তারপর তিনি দলকে তৈরি করেছেন। তারপরে আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তারপরে সময়মতো তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এতো বিচক্ষণ নেতা পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন নেতা। তার আপোষহীনতার কারণে তাকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আবার তিনি যখন কথা বলতেন ভেবে চিন্তা করে কথা বলতেন, এক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। আবার তিনি যেটা বলেছেন সেটার উপরই থেকেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক নেতাকে অনেক নামে সম্বোধন করা হয়েছে। কেউ মহাত্মা, কেউ পেয়েছেন নেতাজি, দেশবন্ধু, শেরে বাংলা উপাধি। তবে এসব উপাধিদের কোনোটাই আনুষ্ঠানিক ছিল না, মহাত্মা উপাধি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এমনভাবে অন্য উপাধিগুলো ব্যক্তি দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু উপাধিটা দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে, একটি জাতি ও দেশের পক্ষে, ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে।’
তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ বলেন, “১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় সেদিন আমি ওনাকে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করি। সার্জেন্ট জহুরুল, অধ্যাপক শামসুজ্জোহা, আসাদ, রুস্তমের রক্তের বিনিময়ে তোমাকে মুক্ত করেছি। বলেছিলাম আমরা তোমার কারণে ধন্য, তোমার কাছে ঋণী। আজ তোমাকে একটি উপাধি দিয়ে কিছুটা ঋণ থেকে মুক্ত হতে চাই।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতাকে স্মরণ করতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ৫৪’র যুক্তফ্রন্টের দিকে, ৬৬’র ১১ দফার দিকে, ৬৯’র গণঅভ্যুথ্রানের দিকে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিলো বাঙালি অর্থনৈতিক মুক্তি, বাঙালির শোষণ-বঞ্চণা থেকে মুক্তি। তিনি সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছে গেছেন দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- অভিনেতা রিয়াজ, মাসুম আজিজ, ক্রিকেটার রকিবুলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।