ডাকাতির মামলায় আট আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১৫
ঢাকা: ২০১৫ সালের দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে সাবেকুন্নাহার নামের এক নারীকে খুন করার অভিযোগের মামলায় আট আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর করে কারাভোগ করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সজল, মো. সোহাগ শরীফ, সাকিব হাসান সিজার, মেরাজুল শেখ ওরফে মিরাজ ওরফে মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয়, শাহ ইমাম হোসেন রনি, মাসুদ শাহ এবং সাগর হাওলাদার।
দণ্ডিতদের মাধ্যে আসামি সাজেদুল ইসলাম সজল রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর সাত আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ মে আসামি সজল ও মাসুদ উত্তর যাত্রাবাড়ীর একলায় তহুরা খাতুনের বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ওঠে। নীচতলার বাসায় বাসায় বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় পরদিন তারা তহুরা খাতুনের বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলে তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার দরজা খুলে দেয়। সজল ও মাসুদ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পরে আরও ৬ জন সেখানে ঢুকে পড়ে। পরে আসামিরা তহুরা বেগমের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে এবং মাথাসহ মুখ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে। সাবেকুন্নাহার চিৎকার দিলে আসামিদের একজন চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আসামিরা ৫/৬ জন তাকে পাশের রুমে নিয়ে দড়ি, টেপ, টাই ও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় তহুরা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।