৯ বছর পর কুষ্টিয়ায় ‘সন্ত্রাসী ফরিদুল’ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৬
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ফরিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন। এসময় মামলার ১২ আসামির মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচজন পলাতক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন, কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন বানিয়া পাড়া গ্রামের নফছের আলীর ছেলে জগো আলী (পলাতক)। যারা যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছেন তারা হলেন, একই থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (পলাতক), বৃত্তিপাড়া গ্রামের শহিদুল, গজনবীপুরের বাদশা মন্ডল (পলাতক), দেড়িপাড়া গ্রামেল আলিম জোয়াদ্দার, বারুইপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম, উজানগ্রামের বাবলু (পলাতক), সাইদুল, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, আসাদুল ও ইউনুছ আলী।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর চরমপন্থি দলের সদস্য ফরিদুলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মানিক মন্ডল নামের এক ব্যাবসায়ীকে মুক্তিপনের জন্য অপহরন করেন। পরে মুক্তিপনের টাকা নিয়ে সহযোগী জগোসহ অন্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ফরিদুলের বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহযোগীরা ফরিদুলের মাথা কেটে তাকে হত্যা করে এবং তার মাথা ইবি থানার বারুইপাড়া গ্রামের একটি ব্রিজের উপর রেখে দেয়, পরে পুলিশ এসে ওই কাটা মাথাটি উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরের দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একই থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই প্রদান করেন।
এছাড়া, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে রানা হোসেন ও বেলি খাতুন নামের দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচাররক মুন্সি মশিয়ার রহমান। মামলার দুই আসামিই পলাতক থাকায় তাদের অনুপুস্থিতীতেই সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় এই রায় ঘোষণা করা হয়।