‘রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া জাপার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:০৭
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। মানুষের ভালোবাসায় রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছানো জাতীয় পার্টির জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে জিএম কাদের তার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এর আগে জাপা চেয়ারম্যান পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ৭২ পাউন্ড ওজনের কেক কাটেন।
এদিকে নেতার জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস নেতা-কর্মীদের ভিড়ে জমজমাট ছিলো। সবাই ফুল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় চেয়ারম্যানের জন্য। বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সঙ্গে স্ত্রী শেরিফা কাদেরকে নিয়ে বনানী অফিসে পৌঁছলে ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে সিক্ত করেন দলের নেতাকর্মীরা।
জিএম কাদের উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করলে অর্থবিত্তে মূল্যায়ন আশা করা ঠিক নয়। মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসাই রাজনীতিবিদদের কাম্য হওয়া উচিত। আমি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই ভালোবাসার মূল্য দিতে চাই। মানুষের আস্থা অর্জন করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’
এ সময় দেশের মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার ঘোষণাও দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি দলকে আরো শক্তিশালী করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। শীর্ষ নেতার অবর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো ঘাত-প্রতিঘাতে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চলে যাওয়ার পরে জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় জাতীয় পার্টি এখন ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের, কো-চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, সোলায়মান আলম শেঠ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।