Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্ড ব্যবসায়ীদের ২৭০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির খোঁজ 


২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৩৫

ঢাকা: গত বছর ২১৫টি অভিযান চালিয়ে ২৭০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির খোঁজ পেয়েছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের প্রিভেনটিভ টিম। এই শুল্ক ফাঁকির ১০৩ কোটি টাকা আদায় করেছে সংস্থাটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় বন্ড দুর্নীতির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান শুরু করে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। তাদের তত্ত্বাবধানে ১০টি প্রিভেনটিভ টিম গত প্রায় ১ বছর ধরে অবৈধ বন্ডেড মজুত, বিক্রির স্থান এবং পরিবহনের সময় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে এসব ফাঁকির খোঁজ পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, রফতানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সের আওতায় শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুবিধা দেয় সরকার। বছরে এ খাতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বন্ড সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে উৎপাদনের পরিবর্তে খোলা বাজারে বিক্রি করে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায়। অন্যদিকে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, বাজারে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি, রফতানি বাণিজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বন্ডেড পণ্যের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত ‍পুরান ঢাকার ইসলামপুর, সদরঘাট, উর্দুরোড, নয়াবাজার, নারায়ণগঞ্জের টানবাজার, নরসিংদীর মাধবদী, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বন্ডেড পণ্য ফেব্রিক্স, কাগজ, পিপি দানা, কেমিক্যাল, সুতা ও বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আটক করে তারা। এর বিপরীতে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ১১টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। আর বিভিন্ন অভিযোগে গত বছর ৩৯০টি বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিন লক করে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, কাস্টমস বন্ডের ধারাবাহিক অভিযানে দেশীয় শিল্পের বাজার পুনরুদ্ধার হচ্ছে ও অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর এতেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে অবৈধ বন্ড সিন্ডিকেট। অভিযানে বাধা দেওয়া, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, অভিযানের সংবাদ সংগ্রহের সময় গণমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে সৎ ব্যবসায়ীরা বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। একইসঙ্গে অবৈধ বন্ডেড পণ্যের প্রভাবে অনেক দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

অবৈধ বন্ড সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন( বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনস (বিটিএ)।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সারাবাংলাকে বলেন, অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য এই শিল্প ক্ষতির মুখে রয়েছে। যারা সৎ ব্যবসায়ী তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা কাস্টমস কমিশনারেটের তৎপরতায় খুশি। সারাবছর তাদের এই ধারা অব্যাহত থাকুক। একই সাথে বন্ড সিন্ডিকেট যেন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সংস্থাটিকে আরও বেশি সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীর সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের এই অভিযানের ধারা অব্যাহত থাকবে। অবৈধ বন্ডেড ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশীয় শিল্প রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অন্যায়ের সাথে আমাদের কোনো আপোস নয়।

বন্ড ব্যবসায়ী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর