বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ ৭ জনকে ধরতে রেড অ্যালার্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১৮
ঢাকা: অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ ৭ জনকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে পুলিশ প্রধান (আইজিপি), র্যাবের মহাপরিচালককে আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী প্রতিবেদন জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, নওরীন হাবিবসহ বাকি পাচঁ আসামি হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এসএম আজিম, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এ মামলায় অপর আসামি জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা এস এম শোয়েব-উল-কবীরের জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী হাসান এস এম আজিম জানান, সাতদিনের মধ্যে পলাতক সাত আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত। এর মধ্যে তারা যদি দেশত্যাগ করে থাকে তাহলে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর অর্থপাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -১০।
এ কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তার স্ত্রী ছাড়াও দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন— বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর।
এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে। পরে তদন্ত শেষে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আমলে নিয়ে ২০১৬ সালে বিচার শুরু করেন। বিচারের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।