‘ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:০০
ঢাকা: ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কেবল আফগানিস্তানের ওপরে বাংলাদেশে। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশকে আরও উন্নতি করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস: ট্রেডিং অ্যাক্রস বর্ডার’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত বছর আমরা ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১৭৬ থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে ১৬৮টি উন্নীত হয়েছি। তবে এতে সন্তুষ্টির কিছু নেই। কারণ আমাদের ডুয়িং বিজনেস সূচকে দুই অঙ্কে নেমে আসতে হবে। আর সেটা হতে হবে ৯০ এর নীচে। সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় খুবই জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসে ১০টি ইন্ডিকেটর রয়েছে। এই বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। পাকিস্তান গত বছর ডুইং বিজনেসে ২৮ ধাপ এগিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত আমরা কেন পারলাম না। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ডুয়িং বিজনেসে অনেক এগিয়েছে। তিন বছর আগে ভারতের অবস্থান ছিল ১৫২, বর্তমানে তাদের অবস্থান ৭৬। আরেক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার অবস্থান দুই ডিজিটের মধ্যে। পাকিস্তানের অবস্থা ১০৮। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরা কেবল আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছি। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো ডুয়িং বিজনেসে আমাদের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা ও অনেক প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে বসে আছেন বিনিয়োগ করার জন্য। এইসব দেশগুলো বিনিয়োগ করার আগে দেখে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোন দেশের ডুইং বিজনেস অবস্থান কত? বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতি করতে হবে।
এনবিআর সদস্য আরও বলেন, ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতি করতে হলে বিভিন্ন পরিবর্তনের পাশাপাশি রুলস অফ বিজনেসেও কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে এটা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। ডুইং বিজনেস নিয়ে সরকারের ১০টি ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে।
উল্লেখ্য, নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কোন দেশে বিনিয়োগ কতটা সহজ বা কঠিন কিংবা ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ আছে কিনা, তা ডুয়িং বিজনেস সূচকের মাধ্যমে বোঝা যায়। আর একটি দেশে অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, বিদ্যুৎ সুবিধা, সম্পত্তির নিবন্ধন, ঋণ পাওয়ার সুযোগসহ ১০টি মাপকাঠিতে এই সূচক তৈরি করা হয়।
ইআরএফ, এনবিআর ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসি‘রে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য দেন এনবিআর‘র কমিশনার আনোয়ার হোসেন, কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ নুসরাত নাহিদ ববি।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ইজ অব ডুয়িং বিজনেস এনবিআর ডুয়িং বিজনেস বিনিয়োগ