Monday 12 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শিক্ষার মান উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করব’


২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪০ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৭

ঢাকা: শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা চিন্তা করে দেখেন যে, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার জন্য কী কী প্রয়োজন। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ের শাপলা হলে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক-২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণাকে আমরা গুরুত্ব দেই। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের যে শিক্ষকরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন তাদের এইটুকু অনুরোধ করব, আপনারা আরও চিন্তা করে দেখেন যে, শিক্ষার মান উন্নত ও শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার জন্য কী কী প্রয়োজন? এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব এবং সেটাই আমাদের নীতি।’

‘জাতির পিতা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। ছাত্রছাত্রীদের যথাযথ শিক্ষার ব্যতয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে। শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, জাতির পিতার এই কথাটা সব সময় আপনারা মনে রাখবেন। কারণ তিনি একটা দেশ দিয়ে গেছেন। আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে গড়ে তোলা।’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা ছেলেমেয়েদের মেধাগুণের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই যুগের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি মেধাবী হয়ে গড়ে উঠছে। কারণ, তারা প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা নিচ্ছে। তাদের কাছে এই বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ। তারা এখন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির নানা ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। যেটা আমাদের আমলে ছিল না। সেই সুযোগটা তাদের আছে। কাজেই তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ডেল্টা প্ল্যানসহ সরকারের সূদুরপ্রসারী বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে দেশটা কীভাবে চলবে। তার একটা পরিকল্পনা আমরা রেখে যাচ্ছি। আজকের ছেলেমেয়েরা আগামী দিনে এই দেশকে গড়ে তুলবে।’

স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজ একটু খুশি হলাম। এখানে আমাদের মেয়েরা বেশি, এটা ঠিক। কিন্তু ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকবে? ছেলেরা পিছিয়ে থাকতে পারে না। কাজেই ছেলেদের এ ব্যাপারে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। সবাই সমানভাবে চলবে আমরা সেটাই চাই। মেধা বিকাশের দিক থেকেও ছেলেরা পিছিয়ে নেই। তবে ছেলেরা একটু বেশি দুষ্টমি করে- সেই জন্য মনোযোগটা কম দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় ছিল আমাদের দেশে বাবা-মায়েরা মেয়েদের পড়াতে চাইত না। শুধুমাত্র ছেলেকে পড়াবে। মেয়েকে পড়িয়ে পুরো পয়সা নষ্ট হবে- এ রকম একটা মানসিকতা ছিল। অনেক শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও এই মানসিকতা ছিল। এখন আর সেটা নেই। তার জন্য আমাদের বেশকিছু পদক্ষেপও নিতে হয়েছে।’

মার্চ থেকে বছরব্যাপী মুজিববর্ষ উদযাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। তিনি আমাদের দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন বলেই ক্ষমতায় থেকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে পারছি। এই মুজিববর্ষ আমরা উদযাপন করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা-উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দুজন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর