বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অনশনে রাবির শিক্ষার্থীরা
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ‘পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ করার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ওই বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করে। অনশনে বিভাগের প্রায় ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট’ নামে কোন বিভাগ নেই। সারাবিশ্বে ‘পপুলেশন সায়েন্স’ নামে বিষয়টি পড়ানো হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এবং ‘হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়টি পড়ানো হয় ব্যবসায় অনুষদে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি স্বতন্ত্র বিষয় এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্য আরেকটি স্বতন্ত্র বিষয়কে এক করে শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট’ নামে স্নাতক সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত এবং সেই সঙ্গে জগাখিচুড়ি পাকানো বিষয়ের নামের কারণে দীর্ঘ ২৪ বছরেও পিএসসিতে বিষয়টির স্বতন্ত্র কোড পাইনি আমরা। কেউ আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের বলে মেনে নেয় না। আমরা না পাই কোনো গবেষণার সুযোগ, না পাই বিজ্ঞান অনুষদের সুযোগ-সুবিধা।
এ সময় তারা আরও বলেন, বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পরিসংখ্যান বিভাগেরই ছয়জন শিক্ষকের হাত ধরে। এই বিভাগটির মূলই হল পরিসংখ্যান বিভাগ। ‘পপুলেশন সায়েন্স ও হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টে বিভাগের সর্বমোট ক্রেডিট ১৬০। কিন্তু ‘পপুলেশন সায়েন্স’ সম্পর্কিত ক্রেডিট পড়ানো হয় মাত্র ৩৪ এবং ‘হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট’ সম্পর্কিত ক্রেডিট পড়ানো হয় মাত্র ১৬। আমাদের পড়ানো হয় ফলিত পরিসংখ্যান সিলেবাসের ১০১ ক্রেডিট, যা আমাদের সিলেবাসের সঙ্গে ৭২ দশমিক ১৪ শতাংশ মিলে যায়। এছাড়া পিএসসির পরিসংখ্যান/ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সিলেবাসের সাথে ৯৫ শতাংশের বেশি মিলে যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বলছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
এর আগে দাবি আদায়ে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।