ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশে কোনো নারী নির্যাতন দেখতে চাই না। অপরাধী যেই হোক, শেখ হাসিনার কঠিন নেতৃত্বে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হয় নাই, ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সঙ্গে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বলেন। আজকে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কেন একটি পাশবিক শক্তিকে দমন করতে পারব না।’
১৫ আগস্টের খুনিদের, জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের খালেদা জিয়া আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সেই পশুদেরও পর্যন্ত শেখ হাসিনার আমলে খাতির করা হয় নাই। তাদের বিচার করা হয়েছে। সমস্ত দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। আইনমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, আমি আইনমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে বলতে চাই, দ্রুত বিচার আইন তো আছে, তারপরেও আরও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে, আরও কম সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার করে নারী-শিশু নির্যাতনকারীদের চরম দণ্ড দিতে হবে, এটা ১৪ দলের দাবি।’
নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, শিশু নির্যাতনকারীরা পশুর থেকেও অধম। এদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি জানান, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পহেলা মার্চ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, দেশের সমস্ত মানুষ নারী-পুরুষ শিখা চিরন্তনে আসুন। আমাদের নতুন কর্মসূচি পহেলা মার্চ বিকেল ৩টায়, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন। শিখা চিরন্তনের সামনে আমরা অঙ্গীকার করবো স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটিও নারী নির্যাতন হতে দেবে না। হলে কঠোর বিচার করা হবে।’
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সেই জন্মশতবার্ষিকীর মুহূর্তে সন্ধ্যা ৬টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর অভিমুখে আলোর মিছিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাসহ অনেকে।