বনানীতে দুই নারীর মৃত্যু: ফুটেজ দেখে গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে সেতুভবনের সামনে দুর্ঘটনায় দুই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সারাবাংলাকে তিনি এ তথ্য জানান।
‘প্রেস’ লেখা স্কুটি দুর্ঘটনায় নিহত কচি ও সোনিয়া সংবাদকর্মী নন
তিনি বলেন, ‘এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে কোন যানবাহনের ধাক্কায় ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে, সেটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থান ও আশপাশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘দুই নারীর পাশে পড়ে থাকা স্কুটিতে প্রেস লেখা থাকলেও আসলে তারা কেউ সাংবাদিক নন।’
গতরাতে মহাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনা নিহত দুজনের বিস্তারিত পরিচয় জানায় পুলিশ। এদের একজনের নাম সৈয়দা কচি (৩৮)। তিনি কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর পৌরসভার পাচুলিয়া বাজিতপুর এলাকার সৈয়দ ফজলুল হকের মেয়ে। নিহত আরেকজন সোনিয়া আক্তার (৩২)। তিনি ভোলা সদর উপজেলার নুরুল আমিনের মেয়ে।
নিহত কচির মামা অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মিরপুর ১ নম্বরে থাকেন। রাতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ফেসবুকে কচির নিউজ ও ছবি দেখে একজন তাকে ফোন দিয়ে জানায়। এরপর ভোরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে কচির লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কচি উত্তরায় পার্ল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক মানের কসমেটিকস পণ্য বিপণন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের টেরিটরি অফিসার হিসেবে চাকরি করতো। বাণিজ্যমেলায়ও তাদের স্টল ছিল। গত সাত-আট বছর ধরে কচি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কচি অবিবাহিতা ছিলো। দুই বোনের মধ্যে সে ছোট। বড়বোনের নাম চুমকি। কল্যাণপুরের একটি বাসায় এক রুমে ভাড়া থাকতো সে। নিজের স্কুটার দিয়েই চলাফেরা করতো।’
নিহত অপরজন সোনিয়া তার বান্ধবী। তিনিও চাকরিজীবী। দীর্ঘদিন ধরে তারা একসঙ্গে শাহআলী থানার পাশেই থাকতেন।
তিনি জানান, কচি সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যেতো। আবার রাত ১১টার আগেই বাসায় ফিরতো। তবে গতকাল এত রাতে কোথায় যাচ্ছিল তা বলতে পারছি না। আর এত জনবহুল জায়গায় এমন দুটি মেয়ের লাশ পড়ে ছিল, কেউ কিছু বলতে পারছে না বিষয়টা আমরা বুঝতে পারছি না।