শ্রমিকদের পুনঃবহাল ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৪৯
ঢাকা: বেআইনিভাবে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানা বন্ধ ও অন্য একটি কারখানায় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। দ্রুত সময়ে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ করে দেওয়া কারখানাটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতা ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শ্রমিকরা জাতীয় পতাকা হাতে দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বক্তারা বলেন, আশুলিয়ায় অবস্থিত ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৬০০। কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী পিচ রেট (মজুরি) বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। শ্রমিকরা গত ২০ ফেব্রুয়ারি শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি করায় ২৪ ফেব্রুয়ারি কারখানা কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করে দেয়। শ্রম আইন অনুযায়ী যা সম্পূর্ণ নিয়মের পরিপন্থী। দ্রুত কারখানাটি খুলে দিতে হবে।
বক্তারা আরও জানান, আশুলিয়ার আরেকটি কারখানা ডেকো ডিজাইন লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। কারখানা কর্তৃপক্ষ গত বছরের ৪ জুন ২৫ শ্রমিককে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করে। তবে কর্তৃপক্ষ ওই ২৫ শ্রমিকের আইনি পাওনা পরিশোধে ৯ মাস ধরে আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা পাওনা পরিশোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত সময়ে তাদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানান বক্তারা।
কারখানা দুটিতে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। তারা আরও জানান, নির্ধারিত সময়ে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয় না, পরিশোধ করা হয় না বাৎসরিক ছুটির টাকা এবং বাৎসরিক মজুরি বাড়ানো হয় না। এ বিষয়ে কথা বললে বহিরাগত মাস্তানদের দিয়ে তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়।
তাই দ্রুত সময়ে চাকরিচ্যুতদের পুনঃবহাল এবং বেআইনিভাবে বন্ধ ঘোষিত কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুফিয়া পারভীন, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক এবং ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ডেকো ডিজাইন লিমিটেডের ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকরা।