স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মাদারীপুরের রাজৈর থেকে আসা বিরল রোগে আক্রান্ত ১২ বছরের আব্বাস শেখ ‘লিম্বোসাইট’ রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। তবে এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, চিকিৎসকরা অপেক্ষা করছেন বায়োপসি রির্পোটসহ অন্যান্য সকল মেডিকেল রিপোর্টের জন্য।
আব্বাসের চিকিৎসায় গঠিত সার্জিকেল টিমের সদস্য ডা. ওবাইদুর রহমান আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব রির্পোট আসছে তাতে করে আব্বাসের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ধারণা করছি— একে লিম্বোসাইট বলা হয়। লিম্বোসাইটের কারণে শরীরে রক্ত সরবরাহ না করায় শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়। কিন্তু এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। বায়োপসিসহ অন্যান্য রির্পোটগুলো আসার পর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
যদিও প্রকৃত রোগ নির্ণয়ের জন্য প্লাস্টিক সার্জন, পালমনোলজিস্ট ও অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্টদের নিয়ে কাজ করছেন আগে গঠিত হওয়া সার্জিকেল টিম।
ডা. ওবাইদুর রহমান আরও বলেন, ‘আব্বাসে ডান পায়ে ক্ষতের কারণে শরীরে পুষ্টিহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। রয়েছে রক্ত স্বল্পতা। এ ছাড়াও আব্বাস হাইপোথাইরয়েড, হাইপো প্রোটিনেমিয়া, ইউরিন ইনফেকশনে ভুগছে। রয়েছে ফুসফুস ও পেটে পানি। ফুসফুস ও পেটে জমে থাকা পানির কারণে আরও পরীক্ষার দরকার রয়েছে।’
আব্বাসের ডান পা-ডান হাত শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়। পুরো শরীরে ঘা বের হয় এবং ফুলে যাওয়া পা থেকে অনবরত পানি ঝরে। শরীর থেকে বের হয় দুর্গন্ধ। তাই স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় আব্বাসের। ফুলে যাওয়া পা নিয়ে হাঁটতেও পারে না।
আব্বাস শেখ বর্তমানে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি রয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা আব্বাসের অসুখকে ‘রেয়ার’ ও ‘কমপ্লিকেটেড কেস’ হিসেবেই দেখছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, তবে আদৌ এ রোগের শতভাগ চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন! কেবল বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অন্য দেশেও এটি একটি বিরল রোগ। এর ‘স্যাটিসফ্যাক্টরি ট্রিটমেন্ট’ সত্যিকার অর্থে নেই বলা চলে।
সারাবাংলা/জেএ/আইজেকে