প্রত্যেক বুথে সেনা চান শাহাদাত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রত্যেক বুথে সেনাসদস্য মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে তিনি ভোটগ্রহণের তারিখ দুইদিন পেছানোর কথাও বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে শাহাদাত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে এসে তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে মানুষ ভোট সেন্টারবিমুখ হয়ে গেছে। তাদের ভোটমুখী করার দায়িত্ব সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র এবং ইসির। আমরা যারা প্রার্থী, ভোটার, দলসহ যারা স্টেক হোল্ডার রয়েছে আমাদের দাবি- ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’, এই অধিকার নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত করবে ইসি।
‘ইসিকে আমরা বলতে চাই- ইভিএমের পদ্ধতিতে দুটো প্যানেল রয়েছে। অপারেটিং প্যানেল আর ব্যালট প্যানেল। ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা আপনাদের দিতে হবে। সেখানে যাতে কোনো ধরণের দলীয় সন্ত্রাসীরা বসে ভোট যাতে জালিয়াতি করতে না পারে।’
শাহাদাত বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলেছি প্রতিটা সেন্টারের বুথের মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন একজন অফিসার সেখানে নিয়োগ করা যায়। যারা ভোটারদের ভোটের সুরক্ষায় এবং পোলিং এজেন্টের সুরক্ষায় থাকবে। তাহলে আশাকরি জনগণ ভোট সেন্টারমুখী হবে।’
সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বলেন, ‘শঙ্কার যে জায়গা তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতেই বলেছি। সম্প্রতি চট্টগ্রামে আবু সুফিয়ান সাহেবের যে উপ নির্বাচন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে দুটো নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিংবা নৌকার প্রার্থী হলে সাতখুন মাফ হয়ে যায়। সেখানে লালদীঘির মাঠ বলেন, রেল স্টেশন বলেন সংবর্ধনার অভাব হয় না। সেখানে দেখা যায়- নৌকার প্রার্থী মানে বিজয়- সেটা অবধারিত হয়ে গেছে। এই কনসেপ্ট থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণ ভোট সেন্টারমুখী হবে না। আমাদের জন্য এক আইন সরকার দলের জন্য এক আইন সেটা চলবে না।’
টানা ছুটির কারণে ২৯ মার্চ ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে না বলে আশঙ্কা করছেন শাহাদাত।
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২৯ মার্চকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ২৯ মার্চের আগে ২৬ মার্চ বন্ধ, ২৭ মার্চ বন্ধ, ২৮ তারিখ বন্ধ, ২৯ তারিখ ভোটের দিনও বন্ধ। যদি কেউ টানা চারদিন ঘোরার জন্য বা দেশের বাইরে চলে যায়, তাহলে এই ভোটাররা কিন্তু আসবে না। ২৯ মার্চের ভোটের যে দিন আছে সেটা যদি দুই দিন পিছিয়ে ৩১ মার্চ করে নির্বাচন কমিশন তাহলে এতে কিছু যায় আসে না। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবে। আপনাদের উদ্দেশ্যে যদি হয় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা তাহলে ৩১ মার্চ ভোটের দিন ধার্য করতে হবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ভোটারদের ঢোকানো এবং রঙিন পোস্টার প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান শাহাদাত।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় শাহাদাতের সঙ্গে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।