Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: হেফাজতে ইসলাম


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:০০

ঢাকা: ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ওইদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘেরাও করে রাখা হবে।’

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব এই সমাবেশে সমমনা ইসলামী দলগুলো যোগ দেয়। এর মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী মোর্চা, ইসলামী ফেডারেশন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফতে মজলিসের নাম জানা গেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতে টার্গেট করে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, মসজিদে আগুন দেওয়া হচ্ছে, মুসলিম নারী-শিশুদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে মোদি সরকার। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। না হলে বিশ্বের সব মুসলিম এক হয়ে এসব প্রতিহত করবে।

ইসলামী দলগুলোর বক্তারা বলেন, মোদি ও অমিত সাহা সন্ত্রাসী- তা এর আগেও প্রমাণ করেছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত, তখন গুজরাটে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। শত শত মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হয়ে তারা একই কাজ করছে।

তারা বলেন, হিন্দু ধর্ম মানুষ মারতে শিখিয়েছে আর মুসলিম ধর্ম হিন্দুদের রক্ষা করতে শিখিয়েছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তারা।

বক্তারা বলেন, দিল্লি হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, এটাই সাম্প্রদায়িকতা, এটাই জঙ্গিবাদ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি। এ ঘটনার পর খুনি সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে যদি বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আনার চেষ্টা করা হয়, তবে আমন্ত্রণকারীদের দিল্লিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর দিযে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদির ছবিতে থুথু ছিটানো, জুতা নিক্ষেপ ও আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। মিছিল শেষে সমমনা ইসলামী দলের নেতা কর্মীরা মোনাজাত করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নুর হোসাইন কাশেমী।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল উপলক্ষে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মিছিলের সামনে ও পেছনে ছিল। এছাড়া সংযোগ সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে সেখানেও অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে আগেই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আবেদন করা হয়েছিল। জবাবে আমরা মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত করতে বলা হয়েছিল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করেছে।’

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ভারত হেফাজতে ইসলাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর