ভারতের সহিংসতায় সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার বিবৃতি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:২১
ঢাকা: ভারতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৩৪ জন নিহত ও ৩ শ’র বেশি মানুষ আহত হওয়ার প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক এফ এম শাহীনের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধমীয় উগ্রবাদীদের দ্বারা সংঘটিত এই সহিংস পরিস্থিতি অনতিবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার জন্য আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এই পরিস্থিতি ভারতের সুদীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ওপর চরম আঘাত বলে আমরা মনে করি। বহু ধর্ম, বর্ণ ও ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মিলনক্ষেত্র ভারতের যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র- সেটি আমাদেরকে সবসময় মানবতার পক্ষে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপমহাদেশের স্বপ্ন দেখায়। বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান অপরাপর প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর সমাজ ও মানুষের মনন সষ্টিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এটি ভারত ও ভারতের জনগণকে গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে হবে। ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণকে সর্বোচ্চ আন্তরিক ভূমিকা গ্রহণ ও সোচ্চার হবার জন্য জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই।
দিল্লীর ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কেউ যেন কোনো সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও আমরা অনুরোধ জানাই।
বিশ্বের সকল প্রান্তের যেকোন রাষ্ট্র ও সমাজের সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকল সচেতন ও মানবতাবাদী মানুষেরা জেগে উঠুক। একটি নিরাপদ ও মানবিক পৃথিবীর জন্য মানবতাবাদী মানুষের লড়াই চূড়ান্ত সফলতা পাক।
বিবতির পক্ষে ছিলেন ড. তুরিন আফরোজ, আহ্বায়ক, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা। এফ এম শাহীন, প্রধান সমন্বয়ক জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা।
এছাড়া ওই বিবৃতির পক্ষে ছিলেন অনিকেত রাজেশ, সাধারণ সম্পাদক, উঠোন; বাণী ইয়াসমিন হাসি, সম্পাদক, বিবার্তা ২৪.নেট;
এস এম মনিরুল ইসলাম মনি, সভাপতি, গৌরব ৭১; ফারাবি বিন জহির, লেখক ও গবেষক; খায়ের মাহমুদ, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ড. বদরুল হাসান কচি, সভাপতি, ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ; ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, আবৃত্তিশিল্পী; জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; হাবিবুর রহমান রোমেল, সম্পাদক ও প্রকাশক, বাংলা জার্নাল; রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক, ডেইলি জাগরণ.কম; সালেহ মাঝি, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; কবি অসীম সাহা; ড. মাসুদ পথিক, কবি ও চলচ্চিত্রকার; অঞ্জন রায়, সাংবাদিক ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক।