Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাইজেরিয়াতে ১১০ স্কুল ছাত্রী অপহৃত: জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা


২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৪০

সারাবাংলা ডেস্ক

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ার ইয়োব প্রদেশের দাপচি শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী “বোকো হারাম” একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলায় ১১০ জন ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এতদিন এই সংখ্যা নিয়ে সরকার দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকলেও অবশেষে তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ জানিয়েছেন অপহৃত ছাত্রীর সংখ্যা ১১০ জন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করে অপহরণে শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, অপহৃত ছাত্রীদের খুঁজতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়ন করা হয়েছে।

নাইজেরিয়াতে “বোকো হারাম” নামে জঙ্গি গোষ্ঠীর বেশ দৌরাত্ম্য। ২০১৪ সালে তারা চিবক সম্প্রদায়ের ২৭৬ জন মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, এ মেয়েদের ব্যবহার করা হয় যৌনদাস হিসেবে। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি দেশটির বোর্নো প্রদেশের রাজধানী মাইডুরিতে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১০ বছরের একটি মেয়েকে ব্যবহার করা হয়। এ হামলার পরে আলোচনায় এও আসে যে অপহৃত মেয়েদের “বোকো হারাম” জঙ্গি হামলায় ব্যবহার করে থাকে। এমন কি জঙ্গি গোষ্ঠীটির গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মুক্তির বিনিময় হিসেবেও নারীদের ব্যবহার করে থাকে।

১৯ ফেব্রুয়ারি যখন হামলাকারীরা দাপচির সরকারি সরকারি বালিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে হামলা চালায় তখন হামলাকারীদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তা স্বত্বেও অনেকে প্রাণ বাঁচাতে আশেপাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে যায়।

বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী নাইজেরিয়ার উত্তরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে।
লোকালয় থেকে নারী অপহরণ করা এবং তাদের যুদ্ধ কৌশল হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই জঙ্গি গোষ্ঠী সারা পৃথিবীতে নিন্দিত।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারি ২০১৫ সালে বোকো হারাম জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সরকার গঠন করেন। ২০১৪’র ২৭৬ মেয়ে অপহরণের পরে দপচির ঘটনাই বোকো হারামের সবচেয়ে বড় অপহরণের ঘটনা। ২০১৪ সালে অপহৃত মেয়েদের মধ্যে ১০০ জন এখনও নিখোঁজ আছে। এর মধ্যে আরও শতাধিক মেয়ে অপহরণের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে দেশটি।

স্থানীয়রা জানায়, দপচিত শহরের ঐ এলাকাটি ছিল কার্যত নিরাপত্তাহীন। সেখানে কোনো সেনা প্রহরা ছিল না। গত মাসেই গুরুত্বপূর্ণ চেক পোস্টগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরে মেয়েদের অপহরণ জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলছে।

সারাবাংলা/এমএ

নাইজেরিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর