হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৫ হাজার টন পেয়াঁজ আমদানির আবেদন
১ মার্চ ২০২০ ১৯:৩৬
দিনাজপুর (হিলি): অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। অবশেষে টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার।
পেয়াঁজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরপরই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য স্থানীয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসে ‘ইমপোর্ট পারমিটে’র আবেদন করেছে স্থানীয় পেয়াঁজ আমদানিকারকরা। ইতিমধ্যে অফিসটিতে ২৫ হাজার টন পেয়াঁজ আমদানির জন্য (আইপি) ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন তারা।
পেয়াঁজ আমদানির গুঞ্জনে স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম, প্রভাব পড়েছে বেচা-বিক্রিতেও। এদিকে অনেক দিন পর পেয়াঁজ আমদানির কথা শুনে খুশি স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দরের শ্রমিকরা। বন্দরের আড়ৎগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে এমনটাই আশা আমদানিকারকদের।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান,ভারত সরকার যদি পেয়াঁজ দেয় আমাদের তাহলে আমরা পেয়াঁজ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যেহেতু সামনে রমজান মাস এই সময় যাতে পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধি না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমার বেশি বেশি করে পেয়াঁজ আমদানি করবো।এতে করে বাজারে পণ্যটির দামও স্বাভাবিক থাকবে।
আমদানিকারক আব্দুল হাকিম জানান,ভারত সরকার পেয়াঁজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়ার পর আমি পেয়াঁজ আমদানির জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসে ৫০০ টন পেয়াঁজ আমদানির জন্য আবেদন করেছি।আমার মত আরও অনেক পেয়াঁজ আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিটের আবেদন করেছেন।আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ভারতের পেয়াঁজ আসবে।
পেয়াঁজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিটের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন প্যাথোলজিস্ট মাহমুদুল হাসান মুসা। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে পেয়াঁজের কোনো চালান আসেনি। তবে অনেক আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিটের জন্য আবেদন করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস অনুমতি দিলে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে পেয়াঁজ আমদানি করতে পারবে তারা।