Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অথচ নার্ভাস ছিলেন লিটন


১ মার্চ ২০২০ ২১:৫২ | আপডেট: ২ মার্চ ২০২০ ০৪:১০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিলেট থেকে: লিটন দাস সব শেষ ওয়ানডে খেলেছেন সেই জুলাইয়ে, বিশ্বকাপে। এরপরে এই ফরমেটে আর একটি ম্যাচও খেলেননি তিনি। এরমধ্যে কেটে গেছে সাতটি মাস। কিন্তু কী আশ্চর্য! তাতেও যেন তার ব্যাটে বিন্দুমাত্র মরিচা ধরেনি! অষ্টম মাসে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই মেরে দিলেন সেঞ্চুরি! নান্দনিক ব্যাটিংয়ে চামু চিবাবাদের বোলিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে ১০৫ বলে খেললেন ১২৬ রানের ইনিংস। অথচ ম্যাচে নামার আগে তিনি ছিলেন ভীষণ নার্ভাস।

তার নার্ভাস থাকার পেছনে কারণ একটি নয়, একাধিক। প্রথমত, বিশ্বকাপে ব্যাটিং করেছেন পাঁচে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগের রাতে তাকে জানানো হয়েছে ওপেনিংয়ে নামতে হবে। আর দ্বিতীয় কারণটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, লম্বা সময় পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন। কিন্তু সেই নার্ভাসনেস তাকে কক্ষচ্যুত করতে পারেনি। বরং প্রকারন্তরে তা আশীর্বাদ হয়েই ধরা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ জন্য আশীর্বাদ যে, নার্ভাস ছিলেন বলেই বুঝেশুনে শটস নির্বাচন করেছেন, যত্রতত্র শটস খেলেনি। তাতে পা হড়কানোর আশঙ্কাও কম ছিল। আদতেও হলো তাই। এমন ঝুঁকিহীন শটস খেলে ৩৪তম ওভারে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

রোববার (১ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এ কথা জানালেন।

লিটন বললেন, ‘অনেকে হয়ত বোঝেননি, আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম আজকে। কালকে রাত থেকেই অনেক নার্ভাস ছিলাম। কারণ, আমি অনেকদিন থেকেই ওয়ানডে খেলছি না। সবশেষ শ্রীলংকায় আমি খেলিনি। তারপর, আমি জানতাম আজকে আমি ওপেন করব। ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে আরও বেশি চাপ ছিল। ওই নাভার্সসেটা আমার মনে হয়, ইতিবাচক হিসেবে কাজ করেছে মাঠে। যেহেতু নার্ভাস, আমাকে আরও ফোকাস নিয়ে খেলতে হবে। সব শট খেলা যাবে না। যদিও পারি সব শট, সব খেলা যাবে না। নাভার্সনেসের কারণে উইকেটে যতক্ষণ ছিলাম, ফোকাস খুব ভালো ছিল।

‘আমি বিশ্বকাপে পাঁচে খেলেছি। অনেক দিন পর ওপেন করছি, সাদ বলে, এই বিষয়টি নিয়ে নার্ভাস ছিলাম। আমি তো নরম্যালি ওপেনই করি। অনেকদিন পর বলেই নার্ভাস ছিলাম।’ যোগ করেন লিটন।

লিটন দাসের ১০৫ বলে ১২৬, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪১ বলে ৫০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে মাশরাফি অ্যান্ড কোং স্কোর বোর্ডে তোলে ৬/৩২১ রান। যা কিনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। রেকর্ড রান তাড়ায় নেমে মাশরাফি, মোস্তাফিজ ও সাউফ উদ্দিনের পেস তোপে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাতে লাল সবুজের দলে ধরা দেয় ১৬৯ রানের বড় জয়। যা কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

ক্রিকেট জয়ের রেকর্ড জিম্বাবুয়ে টাইগার বাংলাদেশ লিটন লিটন দাস সেঞ্চুৃরি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর