Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সড়ক-নৌ-রেল দুর্ঘটনায় ফেব্রুয়ারি মাসেই ৬২২ জনের মৃত্যু


২ মার্চ ২০২০ ১৩:০৯

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ দিনে দেশে মোট ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন এক হাজার ১৬৯ জন।  একই সময় রেলপথে ৫৬ টি দুর্ঘটনায় ৪৮জনের মৃত্যু ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত, ৫৬ জন আহত ও ৬৪ জন নিখোঁজ হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সোমবার (২ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় ২১২ জন পথচারী, ১৩৪ জন চালক, ৭৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৬০ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন শিক্ষক, দুইজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৮৮ জন নারী, ৭৬ জন শিশু, এক সাংবাদিক, এক প্রকৌশলী, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯৯ জন চালক, ১৮৭ জন পথচারী, ৬২ জন নারী, ৭১ শিক্ষার্থী, ৪৫ পরিবহন শ্রমিক, ৫৪টি শিশু, ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা, ১১ শিক্ষক ও এক প্রকৌশলী।

এসব ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস, ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংস্থাটি বলছে, জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের হার ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বাড়লেও সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও নিহত ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে।

বিজ্ঞাপন

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ১৬ তারিখ। সেদিন সারাদেশে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানো, ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ক্রটি, ফিটনেস বিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বলতা ও সড়কে হালকা যান বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশও দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

  • ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা।
  • টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র সমূহে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা।
  • জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে হাট-বাজার অপসারণ করা, ফুটপাত বেদখল মুক্ত করা।
  • দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রাক্রসিং আঁকা।
  • গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
  • যাত্রী,পথচারী ও গণপরিবহনবান্ধব সড়ক পরিবহন বিধিমালা জরুরি ভিত্তিতে প্রনয়ন।
  • গাড়ীর ফিটনেস ও চালদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে আধুনিকায়ন করা।
  • সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠনপূর্বক হতাহতদের চিকিৎসা ও পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
  • দেশব্যাপী চাহিদানুযায়ী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন গণপরিবহন নামানোর উদ্যোগ নেয়া।
  • ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং একাডেমী গড়ে তোলা।
  • গণপরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের সকল মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে একদিন গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
  • সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

টপ নিউজ নৌপথ দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণ সমিতি রেল দুর্ঘটনা সড়ক দুর্ঘটনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর